বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বিএনপি কাউকে শত্রু ভাবে না। আগে বিএনপির শত্রু ছিল আওয়ামী লীগ। এখন বিএনপির অনেক শত্রু। তাই নির্বাচন দিচ্ছে না। নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এটা নিশ্চিত। তাই নির্বাচনের কথা বললে ওদের গায়ে জ্বালা শুরু হয়। ১৭ বছর বিএনপি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন হয়েছে।’
এই সরকারের ব্যর্থতা ও অভিযোগ নিয়ে কোনও গণমাধ্যমে সংবাদ করা হয় না উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে পত্রিকা, অনলাইন, টিভি মিডিয়ায় কোনও সমালোচনা নেই। আওয়ামী লীগের আমলে দেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ছিল না, এখনও একই অবস্থা। আগে কুকুরের মুখে ছিলাম, এখন বাঘের মুখে পড়েছি আমরা। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের সোচ্চার থাকতে হবে। এই সরকারের কাছ থেকে আমাদের নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়। আমরা বলেছি চাঁদাবাজদের ধরেন। এখন তো বিএনপি ক্ষমতায় নেই। তাহলে যারা চাঁদাবাজি করে, তাদের ধরেন। কই তাদের তো ধরা হচ্ছে না। গত আট মাসে দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যে অভিযোগে আওয়ামী লীগকে তাড়ানো হয়েছে, এখনও তো সেই অভিযোগ আছে। সাহস থাকলে তাদেরও ধরেন। কিন্তু আপনাদের সেই সাহস নেই।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, ‘বিএনপি পুরাতনদের সদস্যপদ নবায়ন করছে। এক্ষেত্রে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সদস্য পদ নবায়ন হবে। নতুন সদস্য দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে দলের সব শাখায় এ কর্মসূচি চলবে।’