‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বামজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘আমরা বন্দর বাঁচাতে ও করিডোর ঠেকাতে ঢাকা থেকে দুই দিনের রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রামে এসেছি। রোডমার্চের পথে পথে আমরা সাধারণ জনগণের সমর্থন পেয়েছি। তারা আমাদের দাবির সঙ্গে নিজেদের একাত্মতা জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি কোনোভাবেই বিদেশিদের ইজারা দেওয়া চলবে না।’

ঢাকা থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের রোডমার্চের সমাপনীতে শনিবার (২৮ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রোড মার্চটি বন্দর ভবনের সামনে পৌঁছায়।

রুহিন হোসেন প্রিন্স  বলেন, ‘এক সেকেন্ড দেরি না করে ঘোষণা দেন, আমরা বন্দর লিজ দেবো না। আপনারা দেশবিরোধী, সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে পাঁচ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসের পর আমরা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হলাম। আমরা শোষণমুক্তির কথা বললাম। আমরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সেই দায়িত্ব পালন করবে। এত বড় হত্যাকাণ্ড, তার বিচারের কাজ দৃশ্যমান করবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার, নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, তা-ই করবে। আর গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য নির্বাচন দেবে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, বাসদ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয়।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করা এবং রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোরের উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চটি আয়োজন করা হয়। ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ ব্যানারে এ প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আছেন দেশের বিভিন্ন বামপন্থি সংগঠনের নেতারা।

গত ২১ জুন ঢাকায় এ রোড মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। শুক্রবার ঢাকা থেকে শুরু হওয়া এ রোড মার্চটি কুমিল্লা ও ফেনীতে সমাবেশ করে। শনিবার সকালে ফেনী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করার পর চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে পথসভা করে। বিকালে সেটি নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বন্দর ভবনের দিকে যাত্রা করে।