প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন

‘তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি, হত্যার ধরনও জানা যায়নি’

তনু হত্যাকাণ্ড

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তাকে হত্যার আগে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে থাকা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামতা প্রসাদ সাহা সোমবার (৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানান।

উল্লেখ্য তনুর লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি এবং পুনরায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তনুকে দাফনের ১০ দিন পর বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। গত ২৮ মার্চ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন কুমিল্লার একটি আদালত।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম তনুর লাশের আলামত সংগ্রহ করেন। পরে তনুর লাশ আবার আগের কবরে দাফন করা হয়।

পরিবার সূত্র জানায়, গত ২০ মার্চ রাতে তনুকে সেনানিবাস এলাকায় হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় তনুকে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে তার পিতা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন ২১ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

/এফএস/টিএন/