পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ

প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠবস ‘মানহানিকর’: আদালত

আদালতনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনাটিকে ‘মানহানিকর অপরাধ’ উল্লেখ করে এর তদন্ত করতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত এই অনুমতি দেন।
নারায়ণগঞ্জের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, গত ১৩ মে বিকালে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রটিয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যাণদি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সবার সামনে কান ধরে উঠবস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান।
এই ঘটনাকে ‘মানহানিকর অপরাধ’ সাব্যস্ত করে এর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, মানহানিকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে বিবাদীর সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড এমনকি উভয় দণ্ড দেওয়া হয়ে থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এমপি সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। এছাড়া এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন জানিয়েছিলেন, ‘বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। সেখানে ফৌজদারি কোনও অপরাধ ঘটেনি। ফলে পুলিশের করার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে আরও খবর-

সংবাদ সম্মেলনে সেলিম ওসমান‘আমি ক্ষমা চাইব না’

এদিকে স্কুল শিক্ষকের ঘটনায় এমপি সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ ঘটনায় কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর থানার ওসি এবং ইউএনওসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বুধবার এই আদেশ দেন এবং এর অনুলিপি দ্রুত সংশ্লিষ্টদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

/এএইচ/

অারও খবর পড়ুন-

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদধর্ম নিয়ে শ্যামল কান্তির কটূক্তির সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি