গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

নরসিংদীনরসিংদীর পলাশে এক কারখানা শ্রমিককে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণের অপরাধে ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দুই আসামিকে আলাদাভাবে পর্নোগ্রাফি আইনে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডসহ ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পলাশ উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের মো: কুদ্দুছ আলীর ছেলে আশিকুর রহমান (৩৫), তাজুল ইসলামের ছেলে ইলিয়াছ (২১) সিরাজ শেখের ছেলে রুমিন (২০) হানিফার ছেলে রবিন (২০), মন্টু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম (২২) ও আব্দুস ছালামের ছেলে আ. রহমান। ইব্রাহিম ও আ. রহমান অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ মে পলাশ উপজেলার বাগপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রাণ আরএফএল কোম্পানির এক নারী শ্রমিক কারখানায় ডিউটি শেষে কারখানার মেসে ফিরছিলেন। এসময় জনতা জুটমিলের সামনের সড়কে পৌঁছালে আসামিরা ওই নারী শ্রমিককে জোর করে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় এক আসামি তার মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে হুমকি দিয়ে ওই নারী শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রাণ আরএফএল কোম্পানির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সব আসামির উপস্থিতিতে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমএন অলি উল্লাহ মামলার আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল আবেদনের জন্য সাত কার্যদিবস সময় পাবেন। 

আরও পড়ুন- 

পায়রা বন্দরকে ঘিরে তৎপর দালালগোষ্ঠী, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
জবিতে বিভিন্ন ভবনে তালা, সড়ক অবরোধ

/এফএস/