নারায়ণগঞ্জের আস্তানায় ছিল ১৬ জঙ্গির যাতায়াত

নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার যে বাড়িতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে ওই বাড়িটি ছিল মূলত জঙ্গিদের একটি ঘাঁটি। নিহত ৩ জন ছাড়াও আরও ৪-৫ জন জঙ্গি সেখানে বসবাস ও ৭-৮ জন জঙ্গির নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বাড়িতেই চলত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ।

নারায়ণগঞ্জ জঙ্গি আস্তানায় অভিযাননারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এসব উল্লেখ করেছেন। শনিবার ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামের অভিযানে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ওইদিন রাতেই তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, পাইকপাড়ার ঘটনায় নিহতদের একজন ঢাকার কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিংয়ের জঙ্গি সম্পৃক্ততার ঘটনায় মিরপুর থানার দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। শনিবার নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন নিজেদের মুরাদ ও রনি পরিচয়ে পাইকপাড়ার ৪১০/১ নম্বরের নূরউদ্দিন দেওয়ান ভবনের তিনতলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়।

এ বাসাতেই নিহত ৩ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন জঙ্গি বসবাস করতো। এছাড়া প্রায়ই ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতো। মামলায় নিহত তামিম চৌধুরী ও অজ্ঞাতনামা ২ জন জঙ্গিসহ ১০/১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় অপারেশন ‘হিট স্ট্রং-২৭’ শুরুর আগে জঙ্গিরা সব নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলে। পুলিশ জানায়, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলে জঙ্গিরা।

উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট (শনিবার) সকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিনি জঙ্গি নিহত হয়।

/এমও/