সাত খুন নিয়ে না.গঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিক্রিয়া

আব্দুল হাই ও অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় ২৬ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভাপতি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, ‘এ রায় আমাদের প্রত্যাশিত ছিল। একটি সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এতে আবারও প্রমাণ হলো আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার সঙ্গে একমত।’

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘দেশের একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী দ্বারা সাতজন মানুষ নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের মানুষ একটি বিচার চেয়েছিল। এই বিচারের রায়ে জাতি সেই বিচার পেয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে সরকার সুশৃঙ্খল বাহিনীকে বিএনপির ওপর লেলিয়ে দিয়ে তাদের কলিজা বড় করে দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার দায় এড়াতে পারে না। তাই পুলিশ, র‌্যাব বাহিনীর লাগাম টেনে ধরা উচিত।’

সোমবার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টা ৪ মিনিট থেকে ১০টা ৯ মিনিট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন ওই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দিয়েছেন আদালত।

/বিটি/

আরও পড়ুন:
একফোঁটাও হাসি নেই নজরুলের স্ত্রী বিউটির