গোপালগঞ্জে ৯০ ভাগ স্কুলে শহীদ মিনার নেই

গোপালগঞ্জগোপালগঞ্জের ৯০ ভাগ স্কুলে শহীদ মিনার নেই। ভাষা দিবসে এ সব বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কলাগাছ, কাগজ বা বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

গোপালগঞ্জ জেলায় ৮২২টি প্রাথমিক ও ১৯৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। জেলা সদরের স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ হাসিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তর গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিদাশপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুলসহ জেলার প্রায় ৯০ ভাগ স্কুলে শহীদ মিনার নেই।

বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের স্কুলে কোনও শহীদ মিনার নেই। বাঁশ, ইট বা মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতে হয়।

হরিদাশপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুলের অধ্যক্ষ আতিয়ার রসুল হিমেল বলেন, ‘স্কুল প্রতিষ্ঠা হলেও  শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি। ফলে আমরা ও শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদের সম্পর্কে জানাতে পারছে না। ২১ ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এসব কারণে স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করা প্রয়োজন।  সেইসঙ্গে শ্রেণি কক্ষে আলাদাভাবে এ বিষয়ে পাঠদান করা প্রয়োজন।’

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূঁইয়া অধিকাংশ স্কুলে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ক্লাশে ভাষা আন্দোলনের  ইতিহাস নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। ফলে এ  গৌরবময় আন্দোলন সম্পর্কে  শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না। স্কুলে শহীদ মিনার থাকলে তার ভাষা শহীদদের সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারতো।’

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন,‘ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। তবে স্কুলগুলোতে জায়গা বা উদ্যোগের সংকট থাকায় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। সব স্কুলে শহীদ মিনার তৈরির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

 /বিটি/

আরও পড়ুন:
কুমিল্লার এক তৃতীয়াংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই