ফরিদপুরে ৬৩টি গরুসহ ট্রলার ডাকাতি

ফরিদপুর

ফরিদপুরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৬৩টি গরুসহ দুটি ট্রলার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। জেলার চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের হাজিডাঙ্গী গ্রামের ভাঙ্গার মাথার নিকটবর্তী পদ্মা নদীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতদলের হামলায় ট্রলারে থাকা গরুর মহাজন ও মাঝিরা গুরুতর আহত হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চরভদ্রাসন থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেফতার ও ট্রলার উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্রলারের মাঝি আকবর হোসেন ও রহম আলী জানান, ছয় বেপারি  ফরিদপুরের টেপাখোলা গরুর হাট থেকে মঙ্গলবার ৬৩টি গরু কিনেন। পরে জেলা শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট থেকে ট্রলারে গরু বোঝাই করে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। রাত আড়াইটার দিকে চরভদ্রাসনের হাজিডাঙ্গীর কাছাকছি পৌঁছালে বড় দুটি স্পিডবোট নিয়ে প্রায় ৩০/৪০ জন ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্রসহ ট্রলারে আক্রমণ করে। ডাকাতদলটি দ্রুত ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সবাইকে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। গোপালপুর ঘাট থেকে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরে পিয়াজখালীর আগে এক চরে সবাইকে ফেলে ট্রলারসহ গরু নিয়ে চলে যায়। পরে একজন দাঁত দিয়ে আরেকজনের হাতের রশি কেটে দিলে তারা সকলেই বাঁধনমুক্ত হন।

ট্রলারের মালিক বাচ্চু মোল্যা বলেন, আমার একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছয় লাখ টাকার ট্রলারটি নিয়ে যাওয়ায় আমি নিস্ব হয়ে গেলাম।  ট্রলারটি উদ্ধারের জন্যে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

গরুর এক মহাজন জানান,ডাকাত দল ৬ মহাজনের কাছ থেকে নগদ প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকাসহ ৩৬টি গরু নিয়ে গেছে, যার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা।

উরিদপুরের টেপাখোলা গরুর হাটের ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরের এ হাট থেকে প্রতি মঙ্গলবার মহাজনরা কয়েকশ ট্রলার গরু কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। এ কারণে নদীপথে নৌ-পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রামপ্রসাদ ভক্ত জানান, ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডাকাতির স্থান নির্ধারন নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে চরভদ্রাসন ও সদরপুর থানা পুলিশ একযোগে কাজ করছে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন : সরকারি নির্দেশনা না মানলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী