গোপালগঞ্জে ৫ হাজার দুস্থ নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ

Gopalganj-Pic-Ladis-1গোপালগঞ্জে এলজিইডির জলবায়ু সহনীয় গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দুস্থ ৫ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নে গোপালগঞ্জে ৫ বছরের জন্য এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে।

দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে এ সব নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল গঠন করা হয়েছে। নারীরা প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, কালভার্ট, মাটির কাজসহ জলবায়ু সহনীয় গ্রামীণ অবকাঠামে উন্নয়নে কাজ করছেন। কাজ শেষে উপার্জিত অর্থ প্রত্যেককে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এ বছর প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তাদের প্রকল্প থেকে ৪ মাস অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হবে। এছাড়া এ সব নারীদের ৫ বছরের উপার্জিত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এ প্রকল্প।Gopalganj-Pic-Ladis-3

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসুড়িয়া গ্রামে জলবায়ু সহনীয় গ্রামীণ অবকাঠামে প্রকল্প বাস্তবায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান পিঞ্জিরা বেগম বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়ে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ১২৯ টাকা ব্যয়ে মাটির রাস্তার কাজ শুরু করেছি। এ রাস্তা বিগত ৩০ বছরের বন্যার পানির উচ্চতা থেকে অন্তত ২ ফুট বেশি উঁচু করা হচ্ছে। প্রকল্প থেকে আমাদের ব্যাংক হিসাবে টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা এখান থেকে প্রতিদিন জীবিকা নির্বাহে খোরাকির টাকা নিচ্ছি। কাজ শেষে লাভের টাকা সবাই সমানভাবে ভাগ করে নেবো। এ প্রকল্পের সব কাজই জলবায়ু সহনীয়ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

প্রকল্পের ডিটিএ মো. আবুল কালাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মধ্যে বসবাসকারী নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই গোপালগঞ্জে এ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলায় ৫০টি গ্রুপে অন্তত ৫ হাজার নারী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রত্যেক গ্রুপকে ৪ মাস অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হবে। তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ভবিষ্যতে আয় বাড়াতে কাজ করতে পারেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন ও উপার্জনক্ষম করে তোলা হবে। এ প্রকল্পের সুবাদে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি পাবে। পাশাপাশি তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে।’Gopalganj-Pic-Ladis-2

গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা অতি দরিদ্র পরিবারকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীরা জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সাবলম্বী হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
/এআর/