ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় স্কুলছাত্রী লিজাকে

শরীয়তপুরশরীয়তপুরের সখিপুরে স্কুলছাত্রী লিজাকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহ্সান শাহ এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লিজা হত্যার ঘটনায় আটক শেখ ফরিদ স্কুলছাত্রী লিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ১৫ জুলাই বিকালে লিজাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসামি শেখ ফরিদ ও শেখ জাকির। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে লিজাকে গলাটিপে হত্যা করে। পরে লাশ কাঁথা দিয়ে পেঁচিয়ে ভ্যানে করে ছৈয়ালকান্দি বুলবুল শেখের পাটক্ষেতে ফেলে আসে। 
এদিকে লিজার মরদেহে কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাওয়া যায়নি বলে সাংবাদিকদের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা ভুল ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ময়নাতদন্তকারী দুই চিকিৎসক সাবরিনা খান ও এহসানুল ইসলাম অনভিজ্ঞতার কারণে এ কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বলেছেন, লাশটি সপ্তাহখানেক ধরে কাঁদা-পানিতে থাকার কারণে ফুসফুস, লিভার, কিডনি, জরায়ুসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো পচে যেতে পারে। শরীরের নরম অংশগুলো শিয়াল, গুইসাপসহ পোকামাকড়ে খেয়ে ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এহসানুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নতুন করে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী লিজা গত ১৫ জুলাই বিকালে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। সাতদিন পর শনিবার (২২ জুলাই) একটি পাটক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় লিজার দেহে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো পাওয়া যায়নি বলে জানায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

/বিএল/

আরও পড়ুন:
স্কুলছাত্রী লিজা হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২