গরুর হাটের ইজারা নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাচঁপুরে গরুর হাটের ইজারা নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাচঁপুর রায়েরটেক হাটের ইজারার টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে উদ্বমগঞ্জ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।



সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলার ১৯টি গরুর হাটের ইজারার জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ সোমবার। ইজারা জমা দেওয়ার শেষ দিনে কাচঁপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুব গ্রুপ এবং জেলা পরিষদের সদস্য নুরে আলম খান গ্রুপের লোকজন উদ্ববগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখায় পে অর্ডার করে । পরে তারা টেন্ডার জমা দিতে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় কুশিয়ারা মার্কেটের সামনে একে অপরের বিরুদ্ধে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তর্কাতর্কির একপর্যায়ের উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরে লোকজনকে ধাওয়া করে। শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম খাঁনের সমর্থক শহিদুজ্জামান শাহিন ও তুষারসহ ৫ জন আহত হয়। কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর আলমের সমর্থক মোখলেছ, জনি ও রাসেলসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫-৩০জনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম জানান, কাঁচপুর রায়েরটেক বালুর মাঠে গরুর হাটের সিডিউল জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে পে অর্ডার করার সময় মাহবুবের নেতৃত্বে লোকজন তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় তাদের ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, নুরে আলম খাঁনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের মারধর করে পে-অর্ডারের টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাদের পাচঁ নেতাকর্মী আহত হয়।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, উপজেলা চত্বরের ভেতরে কোনও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলা চত্বরের বাইরের এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/এআর/