নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি: সংস্কৃতিমন্ত্রী

মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর মোনাজাতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের আমরা দুই হাত বাড়িয়ে মানবিক সহায়তা দিচ্ছি, এমন সময় দেশে অস্থিরতা ও অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় কিছু মহল।’ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির পদমদীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘এ দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সাঁওতালসহ পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষদের ওপর হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না সেই সাম্প্রদায়িক শক্তিই এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান নূর মনে করেন বাংলা সাহিত্যে মীর মশাররফ হোসেনের অবদান উল্লেখযোগ্য। মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “আমাদের জাতীয় ও সাহিত্য জীবনে তার অবদান অনেক। শুধু বাংলাদেশি নয়, সব বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ তাকে নিয়ে গর্ব করে। খ্যাতিমান এই লেখক ‘বিষাদ সিন্ধু’ রচনার জন্যই তিনি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।”

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রটি ঘিরে এই অঞ্চলে সাহিত্য ও সংস্কৃতি কিভাবে আরও বেগবান করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই জায়গাটিকে দেশের প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

পরে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মৃতিকেন্দ্র প্রাঙ্গণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসন।

এখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধকার হিসেবে অংশ নেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জলিল।