জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ১ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস.এম আহসান টাঙ্গাইল জেলা প্রতিষ্ঠার ভিত্তিফলকটি উন্মোচন করেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রতিষ্ঠার ভিত্তিফলকটি রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলকের ঠিক পাশে।
এদিকে ১৯৬৮ সালের ১৮ মে ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইস্ট পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখাটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. মির্জা নূরুল হুদা। এরপর ১৯৭১ সালের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তারপর দেশের ব্যক্তিগত, স্বায়ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ব সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়। নবগঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশ জারি করে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ব্যাংক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকেই ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইস্ট পাকিস্তান বিলুপ্ত হয়ে যায়।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান বলেন, ‘টাঙ্গাইল স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও পাকিস্তানের উদ্বোধনী দুটি নামফলক এতো দিন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসলো না কেন? একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না।’
টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিজিএম মুশাররফ হোসেন বলেন,‘ প্রথমে বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। এটিকে আমরা বোর্ড দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম। পরে ফলকটি অপসারণ করা হয়েছে।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল আমীন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি পরে জানতে পেরে দ্রুতই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ রকম যদি আরও ভিত্তিফলক থেকে থাকে তা অপসারণ করা হবে।’