২৩ জানুয়ারি বসতে পারে পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান

পদ্মা সেতুর স্প্যান (ছবি: মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি)আগামী ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান পিয়ারের ওপর বসানোর প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন সেতু কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর জন্য ৭বি স্প্যানটি নিয়ে আগামীকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন হাজার ৬০০ কিলোজুল ধারণ ক্ষমতার তিয়ান ই (Tian Yi) ক্রেন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছাবে। স্প্যানটির ওজন তিন হাজার ১৪০ টন। তবে পিয়ারে বসানোর পর এতে আরও যন্ত্রপাতি লাগানো হবে। তখন এর ওজন আরও বাড়বে।

তবে সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ুন কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ শুক্রবারই (১৯ জানুয়ারি) ৭বি স্প্যান নিয়ে ক্রেনটি জাজিরা প্রান্তে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীকাল শনিবার সকালে স্প্যান নিয়ে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেন এবং স্প্যানের ভর অনেক বেশি। তাই অত্যন্ত ধীরগতিতে ক্রেনটি চলবে যেন ভরবেগ কম হয়। এ কারণে জারিরা প্রান্তে পৌঁছাতে ক্রেনটির দুই দিন সময় লাগবে। আগামী ২৩ জানুয়ারি স্প্যানটি পিয়ারে বসানোর প্রস্তুতি চলছে।’

সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) আহমেদ আহসান উল্লাহ মজুমদার জানান, ‘৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হবে দ্বিতীয় স্প্যান বা স্প্যান ৭বি। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নদীতে যথেষ্ট নাব্যতা ছিল না। ক্রেন চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্যতা ৫ মিটার হলেও নাব্যতা ছিল ৩ মিটার। তাই তিনটি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করে নাব্যতা তৈরি করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়। এরপর, বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর কোনও স্প্যান বসানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ।  ইতোমধ্যে সেতুর একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। পাইল ড্রাইভিং এবং পিয়ার কলামের পাশাপাশি অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।