দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষে চার হাজার জামাত তৈরি

বিশ্ব ইজতেমাবিভিন্ন দেশে তাবলিগের কাজে বের হওয়ার জন্য বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষে চার হাজার জামাত তৈরি করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা জামাতবন্দি হয়ে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে গিয়ে রিপোর্ট করবেন। পরে তাবলিগের মুরুব্বিদের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা জামাতবন্দি হয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। ইজতেমা আয়োজক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ইজতেমা আয়োজক সূত্রে আরও জানা যায়, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষে তৈরি হওয়া জামাতের সদস্যরা এক, দুই, তিন, চার, ছয় ও একবছরের চিল্লা, এমনকি আজীবন চিল্লার জন্যও প্রস্তুত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় এক হাজারের মতো বিদেশি জামাত তৈরি হয়েছে। আগামি ১৫-২০ দিনে মধ্যে এসব জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

বিশ্ব ইজতেমাইজতেমার আয়োজকসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯১০ সালে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস (রাঃ) তাবলিগ জামাতের প্রচলন শুরু করেন মাওয়াত এলাকা থেকে। একটানা ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড়ে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৭ সালে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর কহরদরিয়া বা তুরাগনদীর পূর্ব তীরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।

১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে টঙ্গীর ওই স্থানে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বের ইজতেমা শুরু হয়।

আরও পড়ুন- বিশ্বের কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা