নারায়ণগঞ্জে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা: দুই দিনেও মামলা হয়নি

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ নগরীর জামতলা ধোপাপট্টিতে মোহাম্মদ আলী রাজু নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে দুই দিনেও মামলা হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, মাদক কেনা-বেচা নিয়ে এই ঘটনা ঘটলেও হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী জড়িত। তাদের চাপের কারণে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না নিহতের পরিবার।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজু মারা যান। তিনি জামতলা ধোপাপট্টি এলাকার মৃত মকফর আলীর ছেলে। তার রাইশা নামের দেড় বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। ধোপাপট্টি এলাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি ভাড়া থাকতেন।

রাজুর মা মমতাজ বেগম জানান, বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে তার ছেলে রাজুকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান কিছু তরুণ তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করছে। তিনি ওই তরুণদের পায়ে ধরে রাজুর প্রাণভিক্ষা চেয়েও রক্ষা করতে পারেননি। পরে ওই তরুণরা রাজু ও তার বন্ধু রিপনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  আহত রাজুকে প্রথমে নগরীর খানপুর তিনশ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। ওই দিন সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় রাজুকে নাস্তা দিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মাদকসহ গ্রেফতার দেখিয়ে রাজুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত রাজু ও রিপনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিকালে রাজুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ ঘোষ জানান, বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোহাম্মদ আলী রাজুকে ফতুল্লা মডেল থানার একটি মাদক পাবলিক হেসল্ট প্রেসক্রিপশনসহ কারাগারে আনা হয়। রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার জেনেছি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, রাজু নিহতের ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।