রূপগঞ্জে যুবলীগকর্মী সুমন মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি

রূপগঞ্জে যুবলীগকর্মী সুমন মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধননারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার রূপসী এলাকায় কাঞ্চন-রূপসী সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। নিহত সুমন মিয়ার পরিবারের স্বজনরাসহ শতাধিক নারী-পুরুষ এ মানবন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এই মামলার প্রধান আসামি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ওরফে আন্ডা রফিক সহ আন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

মানববন্ধন চলাকালে কাঞ্চন-রূপসী সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বক্তব্য রাখেন নিহত যবলীগ কর্মী সুমন মিয়ার শাশুড়ি ও হত্যা মামলার বাদী কাজল রেখা, স্থানীয় নারীনেত্রী সুফিয়া বেগম ও রানী বেগমসহ অনেকে।
অপরদিকে  এ মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের একাংশ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মানববন্ধন করেছে। রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা-মঠেরঘাট সড়কে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভূইয়া, সহসভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হোসেন, দফতর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভূইয়া রানসহ অনেকে। 

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, সুমন হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র একটি মহল ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। 

পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দ্রই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন। এ ঘটনায় নিহত সুমনের শাশুড়ি কাজল রেখা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

অপরদিকে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা করেছেন।