‘আদালতের রায়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনের যোগ্যতা হারালে সরকারের কিছু করার নেই'

মুন্সীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালতের রায়ে যদি খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারান, তাহলে সরকারের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি নিয়ে এতদিন বিএনপি সন্দেহ করেছে। কপি কাল পেয়ে গেছে। পাওয়ার পর আবার নতুন নতুন কথা বলছে। রায়ের একটি অংশে আছে, খালেদা জিয়ার অপরাধ রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের শামিল। রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ যিনি বা যারা করেন আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আদালতের সিদ্ধান্তে বিএনপি চেয়ারপারসন যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন, বিএনপি বা সরকার তাকে নির্বাচনে আনতে পারবে না।’
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মহাসড়কে চলাচলরত ছয়টি যানবাহনকে ট্রাফিক আইন না মানার দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত-৭) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আদালতের আদেশেই সবকিছু হবে। আদালত যদি বেগম জিয়াকে নির্বাচন করার অনুমতি না দেন তাহলে আওয়ামী লীগের কী করার আছে? সরকারের কী করার আছে? আজ যেখানে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের দায়, সেখানে যদি নির্বাচন করার যোগ্যতা তিনি অর্জন না করেন তাহলে সেখানে সরকারের কিছু তো করার নেই। এখানে বিষয়টি আদালতের। এখানে সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গতকাল প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে বিএনপির অপরাধী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। তারা দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তারা তাদের দুর্নীতিপ্রবণ চেহারা উন্মোচিত করবে। আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে তারা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে, বিদেশি ফেরারি আসামিকে বিএনপি চেয়ারপারসন করার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হলো এই দল ক্ষমতায় গেলে আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে।’