শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ

শরীয়তপুরশিক্ষকের পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় রিয়ামনি নামে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা। সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী রিয়ামনি বর্তমানে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন কর হয়ছে।

পরিবারের অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ (সোমবার) ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রিয়ামনি বেলা ১২টার দিকে স্কুলে আসে। এ সময় বেঞ্চে বসা নিয়ে অন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে রিয়ামনির ধাক্কাধাক্কি হয়। খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী কক্ষে ঢুকে রিয়ামনিকে বেদম মারধর করে। এতে রিয়ামনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রিয়ামনির বাবা আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেলা রহমাতুল্লাহ বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান। বিষয়টি তদন্তের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
রিয়ামনির বাবা আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী বলেন, মেয়েটির আজকে ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। অথচ পরীক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে তাকে হাসপাতালে শুয়ে থাকতে হচ্ছে। এই শিক্ষক এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মাফ চেয়েছিলেন। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি কাউকে মারধর করিনি।’
এর আগেও অন্য এক ছাত্রীকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি ভুল করেছিলাম। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুকণ্ঠ ভক্তকে বিষয়টি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।