ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

02ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে সরকারি বড় তিনটি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করলেও গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে তা কেউই বলতে পারেননি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজরলার মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর-শিবরামপুর এলজিইডির সড়কের পাশে ১৯৮৬ সালে লাগানো বেশ কিছু বড় আকারের মেহগনি গাছ ছিল। তার মধ্যে গত এক সপ্তাহ আগে ঝড়ে দুটি গাছ পড়ে যায় এবং কালভার্ট নির্মাণের জন্য একটি গাছ কেটে রাস্তার পাশে রাখা হয়।
রবিবার (২০ মে) রাতে সেখান থেকে তিনটি মেহগনি গাছ নসিমনে করে নিয়ে যায় মাচ্চর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মাল্যা। স্থানীয়রা গাছগুলো নিতে বাধা দিলে রশিদ মাল্যা তাদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিতে বলেছেন।
03খলিলপুর এলাকার মনির উদ্দিন মল্লিক বলেন, রাস্তার পাশে বড় আকারের তিনটি মেহগনি গাছ ছিল। সেগুলো রশিদ মেম্বার নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে সে চেয়ারম্যানের কথা বললে আমরা আর কিছু বলিনি। তিনি জানান, তিনটি গাছের আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা।
মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডর মেম্বার রশিদ মাল্যা বলেন, ‘গাছগুলো ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী কেটি নিতে বলেছেন। তার কথায় গাছগুলো কেটে লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
গাছগুলো কাথায় রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদ মেম্বার বলেন, সেটি চেয়ারম্যান সাহেব জানেন।
গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে মাচ্চর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে গাছগুলো কেটে এক স্থানে রাখার কথা। সেখান থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করা হবে।
বর্তমানে গাছগুলো কাথায়, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, গাছগুলো মেম্বারের হেফাজতে রাখা হয়েছে।