জামিনে মুক্তি পেলেন আরও ১৩ শিক্ষার্থী

01নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও উসকানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরও ১৩ শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে ৯ জন ও বিকালে চারজন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে গত রবিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ৯ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে আন্দোলনের সময় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই মুক্তি পেলেন। সকাল থেকেই কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা অপক্ষো করতে থাকে ।
সোমবার সকালে মু্ক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- সাউথইস্ট ইউনিভারসিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল হক, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নুর মোহাম্মদ, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভারসিটির ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র খালিদ রেজা, একই বিভাগের তরিকুল ইসলাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রেদোয়ান আহমেদ, জেনেটিক অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনিভারসিটির মাইক্রোবায়োলজির ছাত্র সাখাওয়াত হোসেন, বিবিএ’র ছাত্র আজিজুল করিম, আইইউবির বিবিএ’র ছাত্র শিহাব শাহরিয়ার।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও জামিন পাওয়া চারজন শিক্ষার্থী বিকেলে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বের হয়ে আসেন। তারা হলেন, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভারসিটির দেওয়ান রিসালাতুল ফেরদৌস জিফান (২১) ও বাইজিদ আদনান (২২), আইইউবির আমিমুল বায়েজিত(২০), এশিয়ান ইউনিভারসিটির সাবের আহম্মেদ উল্লাস (২৩)।
জেলগেট থেকে বের হয়ে নর্থসাউথ ইউনিভারসিটির ছাএ আজিজুল করীম বলেন, ‘বার বার জামিন না হওয়াতে মন ভেঙে গিয়েছিল, এখন অনেক ভালো লাগছে।
সাউথইস্ট ইউনিভারসিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল হকের বড় বোন জাফরিন হক বলেন, ‘ঈদের আগে ভাইয়ের জামিন পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত,সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার মোহাম্মদ জাহেদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জামিনের কাগজপত্র আমাদের হাতে পৌঁছার পরেই সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের একে একে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’