ঘটনাস্থল থেকে মো. জুয়েল (১৮) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে শিবপুরের দুলালপুর এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে।
এ ব্যাপারে মো. জুয়েল এবং অজ্ঞাত আরও দুজনসহ মোট তিনজনকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা। শিবপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতানা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, নির্যাতিত কিশোরী ও তার স্বজনেরা জানান, ১৫ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাজার থেকে কাপড় কিনে ফেরার পথে তিনজন মিলে মুখ চেপে ধরে তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়। এরপর একটি কক্ষে আটক রেখে তার ওপর যৌন নিপীড়ন ও মারধর করা হয়।
কিশোরীর বড় ভাই জানান, বোন নিখোঁজ হওয়ার পরে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। সোমবার সকালে বোন আমাকে ফোন দিয়ে আটক থাকার কথা জানায়। ফোন করতে দেখে ফেলায় তার ওপর আবারও নির্যাতন চালানো হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরীকে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিরুল আমিন জানান, মেয়েটিকে অর্ধচেতন ও দুর্বল অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার হাতে ও নাকে বেশকিছু নির্যাতনের চিহ্ন পেয়েছি। ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত হতে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন বলেন, পাঁচদিন আটক থাকার পর মেয়েটিকে ঘটনাস্থল থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। মামলায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।