নড়িয়ায় কমছে ভাঙনের তীব্রতা, কাল থেকে ড্রেজিং

ভাঙনের কবলে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সশরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মায় ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা কমে এসেছে। গত ৫ দিন ধরে ভাঙন পরিস্থিতি প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে স্রোতের তীব্রতা কমানোর জন্য সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে পদ্মা নদীতে ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা নদীতে ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। আজ রাতের মধ্যেই তিনটি ড্রেজার নড়িয়ায় চলে আসবে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পদ্মার ডান তীর ঘেষে চলা প্রচণ্ড স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করে মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে সাময়িকভাবে ভাঙন প্রতিরোধ হবে।’

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ‘ভাঙন পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। যারা খোলা আকাশের নিচে রয়েছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। অতিদ্রুত তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এখন পর্যন্ত ভাঙন কবলিত ৩ হাজার ৫শ পরিবারের হাতে জরুরি সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।’

ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের একটি অংশ ধসে পড়েছিল। আজ  পর্যন্ত ভবন ও তার পাশের এলাকা একই অবস্থায় রয়েছে। তবে নড়িয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেদারপুর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া ও কারিকর পাড়া এলাকায় প্রায় ২৫ মিটার জায়গা নতুন করে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ১২টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। আশ্রয় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে ৬১টি পরিবার। শনিবার পর্যন্ত তারা কোনও সহায়তা না পেলেও রবিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।