তিনি বলেন, ‘গত ৪ অক্টোবর পায়েল হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সভাপতিত্বে মামলা বিষয়ক মনিটরিং কমিটির সভায় পায়েল হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে। তাদের যাচাই বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
মামলার বাদী পায়েলের মামা গোলাম সারওয়ার্দী বলেন, ‘মামলাটি যাতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সেজন্য কয়েকবার অনুরোধ করেছিলাম। জানতে পেরেছি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই রাত সোয়া ১০টার দিকে হানিফ পরিবহনের বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন পায়েল। ভোর ৪টার দিকে পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বাস যানজটে আটকা পড়ে। এসময় পায়েল বাস থেকে নেমে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এরইমধ্যে বাস ছেড়ে দিলে পায়েল দৌড়ে বাসে উঠার চেষ্টা করলে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এসময় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী ঝামেলা এড়াতে পায়েলকে ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়। ২৩ জুলাই সোমবার পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া পুলিশ।
২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সারোয়ারদী বিপ্লব বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় বাসচালক জামাল, সুপারভাইজার জনি ও হেলপার ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ২৫ জুলাই আটক করা বাসের সুপারভাইজার জনি (৩৮) ও চালক জামাল হোসেন (৩৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।