গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী বিএনপি নেতা মিলন গ্রেফতার

ফজলুল হক মিলনগাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জের বর্তুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার জানান, ফজলুল হক মিলনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে ফজলুল হক মিলনের আইনজীবী পারভীন আক্তার বলেন,  ‘আটকের সময় মিলন বাসায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল মিলন ভাইয়ের বাড়িতে। নির্বাচনে কর্মিসভার আয়োজন ছিল আগে থেকেই। কমপক্ষে তিনশ নেতাকর্মী নিয়ে তিনি কর্মিসভা করছিলেন। সকাল ১১টার দিকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন সদস্য প্রথমে মিলনের বাড়িতে যান। তিনি মিলনের অবস্থানের নিশ্চয়তা পেয়ে ডিবি পুলিশকে খবর পাঠান। সভা শুরুর আগে সব মামলার জামিনের কাগজপত্রের ফাইল সঙ্গে নিয়ে ফজলুল হক মিলন সভায় যোগ দিতে ভবনের তৃতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  দুপুরের পর পুলিশের দুটি গাড়ি ও তিনটি মাইক্রোবাস যোগে কমপক্ষে ৩০জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য তার বাসার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় অনেক নেতাকর্মীকে ধাওয়া দিয়ে পুলিশের লোকজন মিলনের বাসার তিন তলায় ওঠে। তারা শার্টের কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে ফজলুল হক মিলনকে ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। বারবার আটকের কারণ জানতে চাইলে তারা সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি।’

আইনজীবী পারভীন আক্তার বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ভীত সন্ত্রস্ত বা আতঙ্কিত নই। আমরা নির্বাচনি কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। এ ঘটনার পর রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাওয়ার সময় কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য বেনজীর আহমেদসহ কমপক্ষে আরও ১০ জনকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।’

কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য বাবলু মিয়া জানান, এসব ঘটনা কোনও অবস্থাতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। তারপরও আমরা নির্বাচনে লড়ে যাবো।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ জানান, ফজলুল হক মিলন সব মামলায় জামিনে ছিলেন। তারপরও এলাকায় না আসতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে তার ঢাকার বাসায় রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাসায় না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেতে পারেনি। গ্রেফতার আতঙ্কে তিনি এতদিন এলাকায় আসেননি। সকাল ১০টার দিকে ফজলুল হক মিলন গ্রামের বাড়িতে এলে বিকাল ৩টার দিকে তাকে গাজীপুর ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।