শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

03মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসটির প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ বিশিষ্টজনরা। এরপরই সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।

দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। নানা রঙের ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রঙ-তুলির আঁচড়।

02এদিকে দিবসটি উপলক্ষে নবম পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অর্নারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাহিনীটি। আর প্রতিবারের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে সৌধ এলাকার পাশাপাশি ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়কেও শেষ করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড়গুলো কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সড়কের মাঝখানের আইল্যান্ড দৃষ্টিনন্দন করতে দেওয়া হয়েছে লাল ও সাদা রঙ। এছাড়াও সৌধ এলাকার সামনে সড়কে লাগানো হয়েছে আলোকবাতি।

জাতীয় স্মৃতি সৌধের দায়িত্বে নিয়োজিত গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দিনটিকে সামনে রেখে প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত এক মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। আর সৌধ এলাকার পরিচ্ছন্নতা কাজে যাতে বিঘ্ন না হয় সেজন্য সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই সর্ব সাধারণের জন্য সৌধ ফটক উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ’04
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে বাঙালি জাতি এই অহংকারের দিনটি উদযাপন করতে পারবেন।’