স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

গাজীপুর

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তারকে (১৮) গলাটিপে হত্যার পর স্বামী রোমান মিয়া (২১) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের ফজলুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোমান গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বড়চালা এলাকার মনির হোসেনের ছেলে ও ফাহিমা একই উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া খালপাড় এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে।
কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৯ মাস আগে কাপাসিয়ার বড়চালা এলাকার অটোরিকশাচালক রোমানের সঙ্গে ফাহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফাহিমার কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে ফাহিমা বাবার বাড়ি চলে আসে।
রবিবার রোমান শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে ফাহিমার মা নাশতা খাওয়ার জন্য দু’জনকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু তাদের কোনও সাড়া না পেয়ে দুপুরে স্বজনরা ঘরের টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বিছানায় ফাহিমার এবং আড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে রোমানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর রোমান নিজে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত ফাহিমার গলায় কালো দাগ রয়েছে।

অপরদিকে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নারী পোশাক শ্রমিক ফাহিমা আক্তারকে (২১) কুপিয়ে হত্যার পর তার সাবেক স্বামী মফতুল ইসলাম (২৫) নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ফাহিমা শেরপুর সদর উপজেলার রাইচপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মফতুল ইসলামের বাড়িও একই জেলায়।
কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কাশেম জানান, নেশাসক্ত স্বামী মফতুল ইসলামের সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফাহিমার। পরে ফাহিমা কালিয়াকৈর উপজেলার খোলারটেকি এলাকার বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় নায়েগ্রা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শনিবার রাতে ফাহিমা কাজ শেষে বাসায় এলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মফতুল ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে ফাহিমা মারা যায়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় লোকজনকে আসতে দেখে মফতুল ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের পেটে আঘাত করে। এতে মফতুল রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।