রানা প্লাজার অষ্টম তলার নিউ স্টাইল লিমিটেডে কারখানায় কাজ করতেন হৃদয়। বর্তমানে একটি ফার্মেসির দোকান চালিয়ে সংসার চলে তার।
১১ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ৪৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, আজীবন চিকিৎসা প্রদান, ২৪ এপ্রিলকে শোক দিবস ঘোষণা, হতাহত ও নিখোঁজ পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিত, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, আহত উদ্ধারকর্মীদের চিকিৎসা, স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, হতাহত পরিবারের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত হৃদয় বলেন, ‘রানা প্লাজার ভবন ধসের ঘটনার ছয় বছর পার হয়ে গেলেও এখনও অনেক শ্রমিক ও তার স্বজনরা ক্ষতিপূরণ পাননি। এখনও শেষ করা হয়নি বিচার কাজ। অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন পালন করছে। তারা তাদের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচও চালাতে পারছে না। ভবন ধসে কেড়ে নিয়েছে অনেকের সুন্দর জীবন। যাদের কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের বিচার কাজ শেষ করা হয়নি। তাই ১১ দফা দাবি নিয়ে রানা প্লাজার সমনে অনশন পালন করছি।’