শরীরে আগুন ধরিয়ে রানা প্লাজার এক উদ্ধারকর্মীর আত্মহত্যা

রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী হিমু

 

নিজের শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রানা প্লাজার এক উদ্ধারকর্মী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত উদ্ধারকর্মীর নাম নওশাদ হাসান হিমু (২৭)। তিনি বরিশালের নাজিরপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় আবুল হকের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।

রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী নামের সংগঠনের সহসভাপতি খন্দকার হসিবুর রহমান লেবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হিমু তাদের উদ্ধারকর্মী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, হিমু (২৭) রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী ছিলেন। বিরুলিয়া এলাকায় একটি কক্ষে তিনি একাই ভাড়া থাকতেন। তবে রানা প্লাজার ভবন ধসের সময় তিনি উদ্ধারকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। হিমু মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন। বুধবার রাত নয়টার দিকে বাড়ির পাশে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার এসআই আজগর আলী বলেন, ‘হিমুর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি।’