গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ৩১

সংঘর্ষে আহতরাগোপালগঞ্জে পৃথক দুটি সংঘর্ষে ৩১ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১২ জুন) সকালে মুকসুদপুর উপজেলার বাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিংগীপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুরে মারাত্মক আহত পলাশ মুন্সি (৪৫), শাওন শেখ (৩০), তরিকুল মোল্লা (৩৫), মো. নিশান শেখ (৪০) ও শিপুল মুন্সিকে (২৬) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় আহত সাহারাব খান (৩৫),  সাদ্দাম খান (৩২), হাবেজ সর্দ্দার (৩৪), পারুল বেগমকে (৫০) গোপালগঞ্জ হাসপাতালে এবং রানা খান (২২) ও রাবিব খানকে (২৬) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ও পলাশ মুন্সীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঈদের পরদিন এলাকায় ভাতা প্রদান নিয়ে মেম্বার দেলোয়ার ও পলাশ মুন্সীর মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ.কে.এম এনামূল কবীর জানান, সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারুল বেগমের ছেলে শরিফুল ইসলাম সিংগীপাড়া বাজারের সোহেল খানের দোকান থেকে চুরি করেছে এমন অভিযোগ এনে তাকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের লোকজন মারামারি করে। এতে উভয় পক্ষে ৬ জন আহত হন।