স্থানীয়রা জানান, জসিম শেখ ওই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগের একটি হত্যা মামলার সাক্ষী। গত ঈদের দিন নামাজ শেষেও জসিম শেখসহ চার জনকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে শুক্রবার (১৯ জুলাই) এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এলাকাবাসী আরও জানান, ৩-৪ বছর আগে ওই গ্রামে লাক্কু মোল্লা নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। জসিম শেখ ওই মামলার সাক্ষী। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই গ্রামে দুটি গ্রুপের মধ্যে দলাদলি চলে আসছিল। বখতিয়ার শেখ ও ইমাম শেখ নামে দুজন এ দল দুটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। গত ঈদের দিন নামাজ শেষে বিবাদমান এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা আরও জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ বখতিয়ার শেখের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একদল লোক ইমাম শেখের সমর্থক জসিম শেখের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় জসিম শেখকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে তাকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়।
ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।