৫ বছর ধরে বিকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন

বিকল হওয়া এক্স-রে মেশিন৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন। অনেকেই বাধ্য হয়ে সেবা নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। এতে একদিকে যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা তেমনি গুনছে বাড়তি টাকা।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়,২০১৪ সালের প্রথম দিকে এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে যায়। এরপর অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা সোহাগ বলেন, ‘হাত ভেঙে গেছে, তাই এক্স-রে করাতে এসেছিলাম। এখন শুনলাম মেশিন নষ্ট। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে এক্স-রে করালাম।’

বুকের এক্স-রে করাতে এসেছিলেন পাট্টা ইউনিয়নের মামুন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এক্স-রে করাতে এসে শুনি মেশিন নষ্ট।’

পায়ের এক্স-রে করাতে আসা শেফালি বেগম বলেন, ‘ক্লিনিকে একটি ডিজিটাল এক্স-রে করাতে গেলে লাগে ৫০০ টাকা। সরকারি হাসপাতালে লাগতো ২০০ টাকার মতো। গরিব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো?’

মনোয়ার বলেন, ‘খেলতে গিয়ে মেয়ের হাত ভেঙে গেছে। ডাক্তার ডিজিটাল এক্স-রে করাতে বলেছেন। হাসপাতালে এসে দেখি ডিজিটাল এক্স-রে তো দূরের কথা, এনালগ মেশিনটিও নষ্ট। বাধ্য হয়ে রাজবাড়ী যাচ্ছি।’

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্বায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনজুয়ারা খাতুন জানান, এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ দিন ধরে বিকল। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ২০০-৩০০ রোগী আসেন। আর প্রতিদিন এক্স-রে করাতে হাসপাতালে আসে প্রায় অর্ধ শতাধিক রোগী।