এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সাজানো হচ্ছে পুরো আয়োজন। ২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে।
ঈদের জামাত আয়োজনের তোড়জোড় চলছে শোলাকিয়ায়। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং পৌরসভা শোলাকিয়ার জামাতকে সফল করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলাসহ শোলাকিয়া মাঠকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা ও টয়লেট। চলছে শহরের শোভাবর্ধনের কাজও। প্রস্তুত রাখা হেয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম। দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পৌর মেয়র পারভেজ মিঞা বলেন, ‘মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, মেডিক্যাল টিম, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এবারের জামাতেও কিশোরগঞ্জসহ জেলার আশপাশের অন্যান্য জেলার মুসুল্লিরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করবেন।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘আশা করছি বরাবরের মত এবারও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের সবচেয়ে বড় জামাত শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।’
রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শটগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি, এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হবে।
জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।