বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঘাতকরা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া ও মোশতাক গংরা মহান মুক্তিযুদ্ধের স্তম্ভকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যাতে বিচার না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। পরে তা আইনে পরিণত করেছিল। জিয়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত দালালদের বিচারের জন্য তৈরি ‘দালাল আইন’ বাতিল করা হয়েছিল। খুনিদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে এ কর্মসূচি আয়োজন করে বিআইডব্লিউটিএ।

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও কথা বলেন না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের নির্মূল করতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রক্তদান কর্মসূচি হলো একটি অনুপ্রেরণা এবং সচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করতে পারলে তার ঋণ শোধ হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।

বিআইডব্লিউটিএ’র সদর দফতর ও ঢাকা নদী বন্দরের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।