‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল’






দোয়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নসরুল হামিদ বিপুবঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী সময়ের শাসকেরা বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২১ বছর অন্ধকারে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, এমন নজির পৃথিবীতে আর নেই। এখনও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য তার ওপর কমপক্ষে ২০ বার হামলা করা হয়েছে।’

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পর্দার আড়ালে যারা ছিল তাদের এখন খুঁজে বের করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার জন্য তার কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে চেতনা নিয়ে দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই চেতনাকে সামনে রেখেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ঘাতকরা ‘জয় বাংলা’র পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তাদের আমলে জাতির জনকের কোনও ছবি টানানো যেত না।’

মন্ত্রী বলেন,‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আজ বিশ্ববাসী চেনে। দেশে এখন কোনও লোডশেডিং হয় না। বাংলাদেশ এখন উন্নত হয়েছে বিধায় বিদেশিরা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২১ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়তে চাই।’

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ঢাকা দক্ষিণ ডিবির ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের প্রমুখ।