ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে ভিসি অপসারণের আন্দোলন

বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনতুমুল বৃষ্টিতেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে ৭২ ঘণ্টা গড়িয়েছে উপাচার্য ড. প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের আন্দোলন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রেহনুমাতাবাচ্ছুম বলেন ‘ঝড়-বৃষ্টি যাই আসুক তাকে (উপাচার্য) পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো না। এ কষ্ট আমাদের কষ্ট মনে হচ্ছে না।’

বিভিন্ন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিনা কারণে অবাধে বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে জিম্মি করে রাখায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে গণআন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে আন্দোলন বানচাল করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও আবাসিক হলের খাবার, পানি, বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বহিরাগত ও ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি নেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য জাপানের ফ্লাইট ত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন গণিত বিভাগের শিক্ষক মিনারুল হক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন করে সংহতি প্রকাশ করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

এরমধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি করে পালানোর সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা। নিজেকে সেকশন অফিসার বলে পরিচয় দিলেও কথিত সেই কর্মকর্তার কোনও পরিচয় মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাতে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য থেকে রক্ষা এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে উপাচার্যের পদত্যাগের ‘এক দফা,এক দাবি’ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।