মার্কেট দখলের অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাভারআশুলিয়ায় দোকানপাট ভাঙচুর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট ও মার্কেট দখলের অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাত দশটার দিকে এম এ খান মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের ১নং যুগ্ন আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুইয়াকে প্রধান আসামি করে আরও তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর মালিকানাধীন মার্কেট দখলের অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাইপাইল এলাকায় ৩৯ শতাংশ জমি কিনে এম এ খান নামে একটি মার্কেট বানিয়ে কাচা-পাকা মালের আড়ৎ হিসেবে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন জমির মালিক। গত কয়েক মাস ধরে যুবলীগ নেতা মঈনুল তার লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের আড়তদারদের মারধর করে তাদের মালামাল লুটপাটও করে এই নেতা। একপর্যায়ে ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার যুবলীগ নেতা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও তার বাহিনী নিয়ে এসে ওই মার্কেটে হামলা চালায়। এসময় আড়তদারদের মারধর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামল লুট করা হয়।
পরে এ ঘটনায় মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে রবিবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়ার যুবলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে যুবলীগের কমিটি নিয়ে আসার পর থেকেই মঈনুল বেপোয়ারা হয়ে ওঠে। আশুলিয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একাধিক সাধারন ডায়েরিও করা হয়েছে। এছাড়াও আশুলিয়ার গাজীরচ এলাকায় এ এম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একটি পুকুড় দখল করে মাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘লুটপাট, ভাঙচুর ও মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ চার জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।