স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ড্রেনে লুকিয়ে রাখে স্বামী

গাজীপুরগাজীপুর সদরে নিখোঁজের তিন দিন পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আন্ডারপাস ড্রেন থেকে জোসনা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জোসনা বেগমের স্বামী আব্দুল কাদিরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সে র‌্যাবের কাছে নিজ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত গৃহবধূ ও আব্দুল কাদির রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার উত্তর সোনাই এলাকার বাসিন্দা।

লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা মোল্লা পাড়া এলাকার শাহিনুরের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে ভাড়া থাকে আব্দুল কাদির। সে এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। চার সন্তানের জননী জোসনা বেগম স্থানীয় মেসে রান্নার কাজ করতেন। গত শনিবার মধ্যরাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। রবিবার ভোরে মেসের কাজ করতে যাওয়ার সময়ও জোসনার সঙ্গে স্বামীর বাকবিতণ্ডা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় কাজের কথা বলে জোসনাকে সালনা ফ্লাইওভার ব্রিজের কাছে নিয়ে যায় কাদির। সেখানে জোসনাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ব্রিজের উত্তর পাশে মহাসড়কের আন্ডারপাস ড্রেনের পানিতে ডুবিয়ে রাখে কাদির।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, নিখোঁজের পর জোসনা বেগমের বাড়ি থেকে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন। অপরদিকে, ভিকটিমকে খুঁজে পেতে বুধবার জোসনা বেগমের ছেলে বাদী হয়ে র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডারের কাছে আইনগত সাহায্য চান ও অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার র‌্যাব সদস্যরা গৃহবধূ জোসনার স্বামী আব্দুল কাদিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে কাদির স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।