পটচিত্রে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি

পটচিত্রে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি (ছবি– প্রতিনিধি)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার মধ্যেও উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব-ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন আন্দোলরতরা। সেখানে তারা একটি প্রতিবাদী পটচিত্র অঙ্কন করেন।

পটচিত্রে ‘দড়ি ধরে মারো টান, ফারজানা হোক খান খান’, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’, ‘ভাঙবে শিকল খুলবে চোখ/ ধ্বংস হবে ভণ্ড লোক’, ‘গুলিবিদ্ধ গান একদিন ঠিক কেড়ে নেবে স্বৈরাচারের প্রাণ’, ‘হাঁও-মাঁও-খাঁও/প্রতিবাদের গন্ধ পাও’, ‘বন্ধ করো ক্যাম্পাস, বন্ধ করো হল/ভয় পাও সব বেয়াদবের দল’ ইত্যাদি স্লোগানের সঙ্গে ব্যঙ্গচিত্র এঁকে উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন আন্দোলনরতরা।

পটচিত্রে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি (ছবি– প্রতিনিধি)

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের সংগঠক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় জানান, এর আগে উপাচার্যপন্থীরা তাদের একটি ৩০ গজের প্রতিবাদী পটচিত্র ছিঁড়ে ফেলে। আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও পটচিত্র ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে এবার ৬০ গজের পটচিত্র এঁকেছেন তারা। বিকাল সাড়ে ৪টায় পটচিত্র নিয়ে নতুন কলা ও মানবিক অনুষদ ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন আন্দোলনরতরা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' মঞ্চের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের আর্থিক দুর্নীতিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আজ রাতেই রাজধানীতে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধি তথ্য-উপাত্তের হার্ডকপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেবেন।’

পরবর্তীতে সেসব তথ্য-উপাত্ত আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কার্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেও (ইউজিসি) জমা দেওয়া হবে বলেও জানান রায়হান রাইন।