জানা গেছে, ওই দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হলেও দুই শিশু ও নারীসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সরকারি চাকরিজীবী রানী আক্তার লিখেছেন, ‘অনেক অনেক দোয়া রইলো তাদের মতোন মানুষের জন্য।’
চাঁদপুরের হাইমচর এলাকার ফরিদ হোসেন লিখেছেন, ‘সব পুলিশ খারাপ না। কিছু পুলিশ ভালো আছে বলেই এখনও তাদের ওপর মানুষের আস্থা আছে।’
ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মানুষের চরম বিপদের মুহূর্তে যদি নিজেকে উজাড় করে দিতে না পারি, তাহলে আমরা কেমন মানুষ? আমি হয়তো ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে উদ্ধারকাজ তদারকি করে দায়িত্ব শেষ করতে পারতাম। তবে এতে আমার আত্মা তৃপ্ত হতো না। বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বড় দায়িত্ব। তবে আমার মতো অনেকেই উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। তারা সবাই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। উনি সেই কাজটিই দক্ষতার সঙ্গে সুচারুভাবে পালন করেছেন। তবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উনি যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ডামুড্যার সিড্ডা গ্রামের মুন্সী কামরুজ্জামান (৪৫), কুলকুরি গ্রামের জুলহাস মোল্লা (২৮) এবং দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের ইয়াকুব পাইক (৬৫) নিহত হন।