অপহরণের মামলার পর আত্মগোপনে, ৮ বছর পর আটক

সিআইডির হাতে আটক সিরাজপ্রতিপক্ষের এক মামলার একবছরের সাজা হয়েছিল সিরাজ হাওলাদারের (৩১)। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন। বাবার দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন তার ছেলেকে অপহরণ করেছে। মূলত সিরাজ সাজা এড়াতে ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আত্মগোপনে ছিলেন। প্রায় আট বছর আত্মগোপনে থাকা সেই সিরাজকে সিআইডি ২ ডিসেম্বর আটক করেছে। কেরানীগঞ্জ থানার ব্রাক্ষণকিত্তা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সিআইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানান। এতে বলা হয়, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার চররমজানবেগ গ্রামের নুর আলমকে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে  ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় একই গ্রামের সিরাজ হাওলাদার। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় একটি মামলা হয়। বিচারে সিরাজের এক বছরের কারাদণ্ড,  তার বাবা  জালাল হাওলাদারের দুই বছর ও ভাই মিরাজ হাওলাদারের ৬ মাসের সাজা হয়। কিন্তু  সিরাজ আত্মগোপনে চলে যায় এবং তার বাবা প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরুদ্ধে চুরি, ভাঙচুর ও অপহরণের মামলা করে। তার বাবা প্রায়ই সিআইডি অফিসে এসে কান্নাকাটি করে বলতেন, ‘যেভাবে পারেন আমার ছেলেকে খুঁজে দেন। জীবিত না থাকলে তার হাড়গুলো হলেও খুঁজে দেন।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,  এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন পুলিশ অফিসার এ মামলাটি তদন্ত করেন। তবে, কোনও সুরাহা করা যায়নি। অবশেষে কেরানীগঞ্জের ব্রাক্ষণকিত্তা থেকে তাকে আটক করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ সিআইডি পুলিশের এসআই  আবুল হোসেন জানান, ২ ডিসেম্বর আটক করে সিরাজকে ৩ ডিসেম্বর গজারিয়া আমলি আদালতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি মুন্সীগঞ্জ কারাগারে আছেন।