কোটালীপাড়ায় আ.লীগের সম্মেলন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জে সম্মেলন বাতিলের দাবিতে একাংশের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম পরিবর্তন করে পুনরায় সম্মেলনের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রবিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা বক্তব্য রাখেন।

বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন গোলদার বলেন,‘সম্মেলন নিয়ম তান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্মেলনে ৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিকের নাম ঘোষণা করেন।’

বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান মোল্যা বলেন,‘এই সম্মেলন বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। যদি ৩ দিনের মধ্যে নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির বলেন,‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্মেলনে একটি ঘোষণা দিয়েছেন এবং সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে আরেকটি পক্ষ মিছিল সমাবেশ করছে। এসব নিয়ে আমরা দ্রুত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসবো এবং একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে রাত ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিকের নাম ঘোষণা করেন।

এই দুটি নাম ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা এই সম্মেলন বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বিক্ষোভকারীরা জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অবররুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ পাহারায় উপজেলার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন। এরপর ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বান্ধাবাড়ি থেকে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।