হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আইকো কোম্পানির তৈরি ৫০০ এমএ এক্স-রে মেশিন সাপ্লাই করে বেঙ্গল সাইনটিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট হঠাৎ এক্স-রে মেশিনের প্রিন্টার বিকল হয়ে পড়ে। ফলে প্রিন্টারের প্রায় ৯ হাজার পিস ফ্লিম অলস পড়ে আছে; যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এরপর অনেকবার সাপ্লাইকারী প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েও কোনও সুরাহা পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুক এক্স-রে করাতে আসা আরশেদ মোল্লা (৫০) বলেন, ‘ডিজিটাল এক্স-রেতে সঠিক পরীক্ষা হয়। কিন্তু হাসপাতালের লোকেরা বলছেন মেশিন নষ্ট।’
১৪ বছরের কিশোর স্বপ্নিলের অবিভাবক মো. ইলিয়াস মোল্লা বলেন,‘ছেলে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছে। ড্ক্তার বললেন, এক্স-রে করাতে। সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে হবে না। তাই বাইরে থেকে করিয়ে আনতে যাচ্ছি।’
জেলা শহরের বড়পুল এলাকার ছোট্ট শিশু সিনথিয়ার অভিবাবক মো. এনায়েত সেখ বলেন, ‘মেয়ে সিনথিয়ার বয়স মাত্র ২ বছর। খেলতে গিয়ে হাত ভেঙে গেছে। ডাক্তার ডিজিটাল এক্স-রে করাতে বলেছেন। সদর হাসপাতালে এসে দেখি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে এনালগ এক্স-রে করিয়েছি।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীলিপ কুমার বিশ্বাস জানান,ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রিন্টারটি সচলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফোন ও চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সমস্যাটি সমাধানে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য,রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নেন। এর মধ্যে প্রায় ২শ’ রোগী আন্তঃবিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন। আর প্রতিদিন এক্স-রে সেবা নিতে আসেন শতাধিক হাড় ভাঙা রোগী।