শেষপর্যায়ে মুড়িকাটা, আসছে হালি পেঁয়াজ

IMG_20200110_140954ফরিদপুর জেলার কৃষকেরা খরচের তুলনায় প্রায় চার গুণ মূল্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে, এগুলো শেষপর্যায়ে। এরপর মার্চের প্রথম সপ্তাহে আসবে হালি পেঁয়াজ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। যেখান থেকে হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে দশ মেট্রিক টন ধরে ৪৯ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। যার সিংহভাগই দেশের বিভিন্ন জায়গার চাহিদা মেটাবে বাজারে হালি পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, মৌসুমের প্রথম মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ, যা ছোট বীজ পেঁয়াজ লাগিয়ে আবাদ করা হয়, সেগুলো ক্ষেত থেকে উত্তোলন এখন প্রায় শেষপর্যায়ে। এরপর মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজারে আসবে হালি পেঁয়াজ,যা দানা লাগিয়ে আবাদ করা হয়। এই সময়টুকুর চাহিদা মেটায় এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ।

সদর উপজেলার লালখার ডাঙ্গির পেঁয়াজ চাষি আনু শেখ জানান, ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনে তার প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। বিঘাপ্রতি ৫০ মণ হিসাবে তিনি এবার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। যা মোট খরচের প্রায় চারগুণ।

একই উপজেলার কামার ডাঙ্গির কৃষক এমারত শেখ বলেন,‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আর গত কয়েক বছর বাজার দর কম থাকায় যে ক্ষতি হয়েছিল, এবারের চড়া মূল্যের কারণে তা পুষিয়েও অনেক লাভ হবে।’

জেলার খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারে চাহিদা থাকায় অন্য যেকোনও বছরের তুলনায় এবার কৃষক অধিক মুনাফার মুখ দেখছেন। আগামীতে বাজারে হালি পেঁয়াজ এলে মূল্য আরও স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।’