পাওনা ১৫ হাজার টাকার জন্যই ফতুল্লার রহিমকে হত্যা

Narayanjangনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রহিম হত্যার পেছনের কারণ ছিল পাওনা ১৫ হাজার টাকা আদায়। মামলার প্রধান আসামি আসিফ এবং তার সহযোগীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিষয়টি স্বীকার করেছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান ও আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে আসামিরা এই জবানবন্দি দেন।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল আলম জানান, আসিফের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ধার নেয় রহিম। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে আসিফ। পরে নিজের ফোনফ্যাক্সের দোকানে রহিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসিফ। স্থানীয়রা রহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগে আসিফের মা রাজিয়া এবং খালা সুলতানা হত্যার আলামত নষ্ট করে।

তিনি আরও জানান, রাজিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আসিফকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সে পুলিশের কাছে রহিমকে কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়।