মানিকগঞ্জে সরিষা থেকে চার কোটি টাকার মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

01মানিকগঞ্জে এ বছর সরিষা ফুল থেকে মৌমাছি দ্বারা ৮০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এ কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অনায়াসে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষীরা।
জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার হেক্টর। এরই মধ্যে সরিষার আবাদ সম্পন্ন হয়েছে জমিতে। সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসব জমির আশেপাশে প্রায় ছয় হাজার বক্স বসিয়েছেন প্রায় তিনশ’ মৌচাষী। অস্ট্রেলিয়ান জাতের অ্যাপিস মেলিফেরা মৌমাছি সরিষা ফুল থেকে পরাগায়নে সহায়তা করছে। মৌমাছি দিয়ে সরিষার ফুল থেকে এসব বক্সে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
02খানজাহান আলী (র.) মৌচাষ প্রকল্পের মৌচাষী ফয়সাল ইসলাম বলেন, আমি প্রতি বছর মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামে আসি। এ এলাকায় সরিষার আবাদ ও মধু আহরণও ভালো হয়। এ বছর আমি আড়াইশ’ মধু আহরণের বাক্স নিয়ে এসেছি। আমাদের এখান থেকে স্থানীয়রা মধু কিনে তাদের আত্মীয়দের উপহার দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মধু বিক্রি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানির মাধ্যমে এই মধু ভারতেও রফতানি করা হয়।
04আরিফুল ইসলাম নামে আরেক মৌচাষী জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ফুল থেকে তিনি চার টন মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মধু সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও অধিকাংশ মধু কিছু বড় কোম্পানির কাছে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করা হয়।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৬০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে অনায়াসে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।’