পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নারী ভাইস চেয়ারম্যানের ৪ ঘণ্টা হাজতবাস

ফতুল্লা মডেল থানা (ছবি সংগৃহীত)থানা থেকে আসামি ছাড়িয়ে নিতে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে চার ঘণ্টার হাজতবাসের পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ফতুল্লার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লা মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি আসলাম হোসেন।

তিনি জানান, সদর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, ফতুল্লা এলাকায় এক অন্ধ ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানার সদস্যরা দুই জনকে গ্রেফতার করে। এদের ভেতর বেলী নামে এক নারীকে ছাড়াতে দুপুরে থানায় আসেন সদর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। তিনি থানায় প্রবেশ করেই আসামিদের ছেড়ে দিতে ডিউটিরত কনস্টেবল ও নারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকেও আটক করে লকআপে রেখে দেয়।

পরে ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারি শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান থানায় আসেন। তাদের জোরালো তদবিরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান ফাতেমা মনির।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পুলিশকে ফোন দিলেই পুলিশ আসামি ছেড়ে দেবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন ভাঙার কাজ করেছেন, আর সে কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেছেন এবং এমন কাজ পরবর্তীতে করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। নারীসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছি।