বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টায় লৌহজংয়ের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি ৬ দশমিক ৫২ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার যা ছিল ৬ দশমিক ৫০ মিটার। মাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে ৪২ সেন্টিমিটার বেশি ও ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁয়ে ৫ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ছে ও কমছে। তবে, বিপৎসীমার অনেক ওপরে আছে। বিপৎসীমার নিচে নামলে ভাঙন বাড়বে। সপ্তাহ খানেক পরে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস আছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, পুরো জেলায় ৩১৯ গ্রামের প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। ৪২ হাজার ৫৮৩ পরিবার বন্যার কারণে বানভাসি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সরকারি ৮১ টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৩৪৩ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি ত্রাণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫২৭ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ৫ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ১১ লাখ টাকা ও সাড়ে ৫ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, লৌহজং, শ্রীনগর ও টংগিবাড়ি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে বলা যায়।