মানিকগঞ্জে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দুই জনকে কুপিয়ে জখম

হামলার প্রতিবাদে মিছিল মানিকগঞ্জে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এর প্রতিবাদে রবিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বেলা ১২টায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বেগম জরিনা কলেজের প্রভাষক আতোয়ার হোসেন, জিয়নপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রব, ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নুরুল আমিনসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন তার নামে করা একটি কলেজের এমএলএসএস পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০১৫ সালে ওই এলাকার লুৎফর খানের ছেলে মনির খান সাহাদের কাছ এক লাখ টাকা নেয়। দীর্ঘ সময় অতিবিাহিত হলেও তাকে সেই চাকরি না দিয়ে আরও তিন লাখ টাকা দাবি করেন।

এর প্রতিবাদ করে সাহাদের চাচাতো ভাই কাউছার খান মামুন (৩৫) ও তার ভাতিজা হাসান খান (১৭)। তারই জের ধরে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কাউছার ও হাসানকে আমতলী বাজার এলাকায় পেয়ে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে।

আহত চাচা-ভাতিজাকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে দ্রুত মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।

চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনসহ হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দৌলতপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, হামলার আহত কাউছার ও মামুন খানের ভাই শাহ আলম খান জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, তার তিন ভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার‌ম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, কাউসার এবং হাসানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তবে তিনি এই হামলার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।